আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, এদেশের সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে। আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করা।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করে, মানুষ যেখানে ভোট দিতে পারতো না তাদের হাতে তৈরি করা দল যাদের মুখে শুনতে হয় নির্বাচন।
ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার কারণে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে হয়। আবার ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে দালালি করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।
শেখ হাসিনা বলেন, সুপরিকল্পনা নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় শুরু করি। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা অর্থনৈতিক নীতিমালা সেটিও আমরা নতুনভাবে গ্রহণ করি যে, আমরা সরকারে গেলে কীভাবে এ দেশের উন্নতি করব। আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা সবসময় তৃণমূল মানুষদের কথা মাথায় রেখে করা হয়।
পূর্বের শাসন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হবে— মিলিটারি ডিটেক্টররা ক্ষমতা আসলেই এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করত। তারা কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করে তাদের হাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ধন-সম্পদ তুলে দিয়ে তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করত। তবে আমাদের লক্ষ্য সেটি ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল জনতার ক্ষমতায়ন। গ্রাম পর্যায়ের মানুষ যেন ক্ষমতা পায় সেই ব্যবস্থাটাই করা।