পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করে একটি তালিকা তৈরির কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আসন্ন কপ-২৮ সম্মেলনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা হবে। ফলে একটি বহুক্ষেত্রীয় ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতি তৈরী হবে, যা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
শাহাব উদ্দিন আজ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘দ্য রোড টু দুবাই: এক্সপার্ট কনসালটেশন অন থিমেটিক প্রোগ্রামস অভ কপ-২৮’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কপ-২৮’র থিমেটিক বিষয়গুলি অর্থাৎ জলবায়ু, অভিযোজন, অর্থায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, পানি, প্রাকৃতিক সম্পদ, এনার্জি, শিল্পায়ন, নগরায়ন, স্বাস্থ্য, নারী এবং যুবসম্প্রদায়, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসা, যানবাহন, বহুমাত্রিক দায়িত্ববোধ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। তাহলেই, আসন্ন কপ-২৮’র বৈশ্বিক আলোচনায় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, কপ-২৮ সবচেয়ে বেশি বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশসমূহে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড অপারেশনালাইজ করাসহ ‘ডিটেইল এ্যারেঞ্জমেন্ট” ঠিক করার পাশাপাশি গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন কাঠামো তৈরি করা হবে। এছাড়াও, উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত ও অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে হবে।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, প্রফেসর এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড এস এম মনজুরুল হান্নান খান। কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, তরুণ জলবায়ু যোদ্ধা, এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। খবর বাসস।