নভেম্বর ২৬, ২০২৪

অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, সিনিয়র এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

অবসরের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অবসরে যাওয়া সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামালের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় আদালত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। খবর বাসস।

অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ জানুয়ারি রিটটি দায়ের করা হয়। নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বৎসর অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।

এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মো. শামীম কামাল রিটটি দায়ের করেন। এছাড়া এই ইস্যুতে অবসরে যাওয়া আরো অনেক সরকারি কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। সবগুলো রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...