নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কুমিল্লা জেলার চান্দিনার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মানুষ পটল চাষ করে কৃষকরা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পটল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওইসব দরিদ্র সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। কয়েক বছর আগে ওই সব জমিগুলোতে কোন প্রকার চাষাবাদ হতো না এবং কৃষকদের অভাব অনটন লেগে থাকতো।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

পটল চাষিরা জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে পটল চাষে শ্রেণীভেদে খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত পটল বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

শ্রীমন্তপুর গ্রামের পটল চাষি মনির হোসেন বলেন, এক সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাদের ৬৬ শতক জমিতে পটল চাষ করে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পটল বিক্রি করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এবার তিনি ১৫ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছেন। চার মাস পটলের জমি পরিচর্যায় গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই ১৫ কাঠা জমি আবাদে তিনি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা পটল বিক্রয় করে ক্যাশ জমিয়েছেন। আগামীতে আরো ১ মাস এমনিভাবে ফসল তুলে বিক্রয় করতে পারবেন বলে জানান। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে এই জমি হতে ২-৩ মন পটল তুলেন। এখন যতই দিন যাবে ততই আরো বেশী ফসল তুলবেন। প্রতি কেজি পটল তিনি ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সামনের দিনে পটলের দাম আরো বাড়বে ফলে আরো বেশী লাভবান হবে বলে জানান। খবর বাসস।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানে জন্য সরকারের পক্ষ হতে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় অনেক জায়গাতে কৃষক পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আগামীতে অত্র উপজেলায় পটলের আবাদ বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...