নভেম্বর ২৬, ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশের অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে আমরা সব সময়ই সন্তুষ্ট। ২০১৬ সালে সহযোগিতা কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয় এবং ২০১৯ সালে গভীরতা পায় দেশ দুটির সম্পর্ক। নিজস্ব স্বার্থ ও উদ্যোগের বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করে চীন ও বাংলাদেশ।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গণচীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাজার বছর আগেও চীনের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে চীনে গিয়েছিলেন। এরপর ১৯৫৭ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যান। এই সফরে চীনের মহান নেতা মাও সেতুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। জাতির পিতার লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইটি থেকে চীনকে আরও কাছ থেকে আমরা জানতে পারি।

তিনি বলেন, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেন। ২০১৬ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাদের এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতর করেছে। এরপর থেকে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পে চীন সহযোগিতা করে চলেছে। সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলনে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং দুই দেশের সম্পর্কের অধিকতর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চীন ও বাংলাদেশের অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে আমরা সবসময়ই সন্তুষ্ট। চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গাঢ় করার জন্য প্রয়াস রয়েছে। আমাদের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশ চালনা সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...