নভেম্বর ২৩, ২০২৪

তৃণমূল বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটে নিজ নিজ পদে নির্বাচিত হন তারা।

সাবেক কূটনীতিক শমসের মবিন একসময় বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আর বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার ছিলেন দলটির চেয়ারপারসের সাবেক উপদেষ্টা।

এছাড়া দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা দলটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলে দলটির ২৭ সদস্যের আংশিক কমিটি নির্বাচিত হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক পেয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার তিনদিন পর তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা মারা যান। এরপর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদা।

কাউন্সিলে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘দেশে যে লুটপাট হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের এমপিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই দলে লুটেরা ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না। আমি দীর্ঘদিন বিএনপিতে ছিলাম। খালেদা জিয়ার সুস্থ ও মুক্ত জীবন কামনা করি। আমি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। তারপরও সব প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি। অনেকদিন হয়েছে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। যেহেতু বিএনপির সাথে তৃণমূল বিএনপির মিল রয়েছে তাই এখানে যোগ দিয়েছি।’

শমশের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘সরকার যত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে তার পক্ষে থাকবে তৃনমূল বিএনপি। আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। লগি-বৈঠা তাণ্ডব চাই না। আবার গাড়ি পোড়ানো চাই না। নির্বাচন কমিশন যদি ভালো ভাবে কাজ করতে পারে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আমরা একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল, আমরা কিংস পার্টি নই – পিপলস পার্টি।

২০১৫ সালে শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে বিকল্পধারায় যোগ দেন। নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই সময় জোটের মনোনয়ন না পেয়ে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে নামলেও পরে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানান শমসের মবিন।

তৈমূর আলম খন্দকার ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সক্রিয় ছিলেন। এ জন্য মামলা-হামলার শিকার, এমনকি জেলেও থাকতে হয়েছে তাকে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার কারণে দেড় বছর আগে দল থেকে বহিষ্কার হন তৈমূর। এরপরেও তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদনও করেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি তার সাবেক দল।

নাজমুল হুদা সবশেষ ‘তৃণমূল বিএনপি’ গঠন করেন ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে দলটি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...