সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

মেসির সেই ট্রেডমার্ক ফ্রি কিক থেকে বাঁকানো শটের গোলে আবারো গুরুত্বপুর্ন জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাইপবের্র সুচনা ম্যাচে মেসির জয়সুচক গোলে ইকুয়েডরকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এদিন বছাইপর্বের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়া ১-০ গোলে ভেনেজুয়েলাকে হারালেও প্যারাগুয়ে সফরে গিয়ে স্বাগতিকদের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করেছে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া পেরু।

গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেয়া মেসি অবশ্য ২০২৬ বিশ^কাপ পর্যন্ত জাতীয় দলে থাকবেন কিনা নিশ্চিত নন। তবে গোল খরায় থাকা ম্যাচে গতকাল ব্রেকথ্রু এনে দিয়ে মেসি প্রমান করেছেন দলে তার গুরুত্ব এখনো অটুট আছে। গোল না পাওয়ার হতাশায় থাকা লিওনেল স্কালোনির দলকে পুরো তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন মেসি।

ম্যাচের ৭৮ মিনিটে মধ্য মাঠে ফ্রি কিক আদায় করেন লটারো মার্টিনেজ। ইকুয়েডরের গোল পোস্টের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক থেকে নিখুঁত বাঁকানো শটে গোল রক্ষক হার্নান গালিন্দেসকে পরাস্ত করেন মেসি।

এই গোলের মাধ্যমে সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে দক্ষিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনও ভাগ করে নিলেন লিও। দুইজনই সমান ২৯টি করে গোল করেছেন।

আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে শুক্রবার বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ম্যাচটা শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই। প্রথমার্ধে বল দখল এবং আক্রমণে ইকুয়েডর থেকে বেশ এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। যদিও ওই অর্ধে আর্জেন্টিনার একটি শটও অন টার্গেট ছিলোনা। ফলে প্রথমার্ধে মেসি-মার্টিনেজদের রুখে দেয় ইকুয়েডর।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে কোন পাত্তাই পায়নি সফরকারীরা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় আলবিসেলেস্তেরা। তার ফল মেলে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে। এই সময় অবশ্য সিমিত পরিসরে পাল্টা আক্রমন করেছে ইকুয়েডরও।

ম্যাচের ১৬ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন মেসি। বক্সের মধ্যে তার করা শটের বলটি গোল পোস্ট ঘেঁষে রেখে বাইরে চলে যায়। বিরতিতে যাবার আগমুহুর্তে লটারো মার্টিনেজ বল নিয়ে ইকুয়েডরের পোস্টের একেবারে কাছে চলে এসছিলেন। কিন্তু তার শটের বলটি পোস্টে লেগে দিক পরিবর্তন করে।

৬৯ মিনিটে ফের গোল করার চেস্টা করেন মেসি। তবে তার নিচু দূর্বল শটের বলটি সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন ইউকুয়েডরের গোল রক্ষক। এতে আরো একবার হতাশায় পুড়ে এস্তাদিও মনুমেন্টালে উপস্থিত প্রায় ৮০ হাজার স্বাগতিক দর্শক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের হতাশ করেননি মেসি। ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে আদর্শ জায়গায় পাওয়া ফ্রি কিক থেকে ঠিকই কক্ষপথে বল পাঠিয়ে দেন তিনি। ফলে মেসির পা থেকেই ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচ শেষে মেসি বলেন,‘ ইকুয়েডর এটি প্রমান করেছে যে তাদের দলে খুব ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের শারিরিক সক্ষমতাও রয়েছে এবং জানে কি করতে হবে। আমরাও জানি, দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে নিজেদের শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে। এই দলটি দেখিয়েছে লক্ষ্য অর্জনের আগে কোন ভাবেই তারা নির্ভার হয় না। যা ঐতিহাসিক এবং অসাধারণ বিষয়।’ খবর বাসস।

সাত বারের ব্যালন ডি’অল খেতাব জয়ী এই তারকা বলেন, ‘আমরা সবকিছু বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছি। কিন্তু যা করেছি তা এখন শেষ হয়ে গেছে, তাই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং সামনের দিকে তাকাতে হবে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *