এশিয়া কাপ শুরুর আগে একের পর এক দুঃসংবাদ পাচ্ছে টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে ছিটকে গেছেন দলটির পেসার দুশমান্থ চামিরা। শুক্রবার জানা গেছে অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে এশিয়া কাপের শুরুর দিকে পাবে না দলটি।
শ্রীলঙ্কার আরও দুই ক্রিকেটার কুশাল পেরেরা ও আভিষ্কা ফার্নান্দো করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দুজনকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপরই নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের স্কোয়াড আসলে কেমন হবে।
সদ্য সমাপ্ত লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) কাঁধের চোটে পড়েছেন চামিরা। কদিন আগেই তিনি গোড়ালির অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনি সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন ৭ জুন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস তারকা। এরপর চোটের কারণ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারেও খেলতে পারেননি চামিরা। শ্রীলঙ্কা দলের ম্যানেজার মাহিন্দা হালানগদা ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে চামিরার এশিয়া কাপ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। যদিও চামিরার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ডই।
এদিকে পেশির চোটের কারণে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ফাইনালে খেলতে পারেননি হাসারাঙ্গা। লঙ্কা দলের ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচে সম্ভবত এই অলরাউন্ডারকে পাওয়া যাবে না।
শ্রীলঙ্কা দল যে করেই হোক হাসারাঙ্গাকে বিশ্বকাপে চাইবে। তিনিই দলটির প্রাণভোমরা। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে নিয়ে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট। হাসারাঙ্গা সর্বশেষ এলপিএলের সবর্চ রান সংগ্রাহক ও উইকেট শিকারি।
এদিকে এলপিএল চলাকালেই পেরেরা এবং ফার্নান্দোর করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। এরপর তারা কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছিলেন। গত জানুয়ারির পর ফার্নান্দো কোনো ওয়ানডে খেলেননি। পেরেরা ওয়ানডে খেলেন না ২০২১ সাল থেকে। দুজনই চোট ও ইনজুরির কারণে দলের বাইরে লম্বা সময় ধরে। পেরেরা ও ফার্নান্দোকে না পেলে কাসুন রাজিথা ও দিনশান মাদুশঙ্কা ও আসিথা ফার্নান্দোকে নিয়ে দল সাজাতে পারে শ্রীলঙ্কা। এদের প্রত্যেকেই সর্বশেষ এলপিএলে দারুণ খেলেছেন।