নভেম্বর ২৬, ২০২৪

দীর্ঘ দিন পর গভীর সমুদ্র থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। ইলিশের দেখা পেয়ে খুশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পটুয়াখালীর বড় দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলীপুর ও মহিপুরে বিভিন্ন আড়তে স্থানীয় ছাড়াও চট্টগ্রাম, ভোলা, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার থেকে অনেক ট্রলার ইলিশ বিক্রি করতে এসেছে।

বৈরী আবহাওয়া ও নিষেধাজ্ঞা শেষে কক্সবাজারের জেলেরা এখন স্বস্তিতে। সাগর থেকে ট্রলার বোঝাই করে ইলিশ আর হরেক রকমের মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন তারা। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ায় সরগরম পুরো মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। বিভিন্ন সাইজের ইলিশের ক্রয়-বিক্রয় এবং হাঁকডাকে ব্যস্ত মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

এর আগে, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে সমুদ্রে যাওয়ার ৭দিনের মধ্যে দুইবার বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে ফিরে আসায় সংকটে পড়েন জেলেরা। তবে এবার সমুদ্রে নামার পর ইলিশের দেখা পেয়ে সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছেন তারা। ইলিশের দেখা পেয়ে তারা যেমন খুশি, তেমনই খুশি দামেও। তবে অতিরিক্ত দামে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঝে মাঝে লোকসানে পড়ছেন।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মোল্লা ফিসের পরিচালক এজাজ মোল্লা বলেন, গভীর সমুদ্রের জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে আসছে এবং ভালো দামও পাচ্ছে। আজ জাটকার মণ ২১ হাজার টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ ২৮ হাজার, ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ ৩৬ হাজার এবং ১ কেজির উপরের ইলিশ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দামে জেলেরা খুশি থাকলেও পাইকারি ক্রেতারা প্রায়ই লোকসান গুনছেন।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত কয়েকদিন যাবত গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারকারী ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে। তবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপকূলবর্তী জেলেরা। এর প্রধান কারণ হলো আন্ধারমানিক ও রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে ইলিশ তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। ৬৫ দিনের অবরোধের সুফল পাচ্ছেন জেলেরা। তাই উপকূলের জেলেদের জন্য পরামর্শ থাকবে তারা যেন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের সরঞ্জামাদি তৈরি করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...