সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

ডিজিটাল ব্যাংকিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আর্থিক অপরাধ বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ লেনদেন মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে মুদ্রা পাচার বাড়ছে। দেশ প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই হুন্ডি, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে জারি করেছে সরকার।

এলক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স এন্ড পাবলিকেশন্স এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের অংশগ্রহণে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থিক সেক্টরেও ডিজিটাল পেমেন্ট এবং স্মার্ট পেমেন্টের প্রয়োগ বেড়েছে। যার সুফল ভোগ করছে পুরো বাংলাদেশ। তবে সুফল ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি এসব ব্যাংকিং ও পেমেন্ট সিস্টেমের অপব্যবহারও বেড়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল ব্যাংকিং বা পেমেন্টের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আর্থিক অপরাধ বিস্তার লাভ করেছে। এর মধ্যে অবৈধ অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিং অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে এসব অপরাধের মাধ্যমে সংঘটিত অবৈধ লেনদেন মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে এসব অপরাধ হুন্ডি প্রক্রিয়াকে সহজ ও ত্বরান্বিত করছে। এর ফলে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশ প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে।

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে বিএফআইইউ হুন্ডি তথা অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার কমাতে কাজ করছে। এছাড়া সকল ধরনের অর্থ পাচার কমাতে বিএফআইইউ অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এ সমস্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিএফআইইউ ইতোমধ্যেই ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে বিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও জানানো হয়।

এদিকে অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার কমাতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে প্রাধান্য দিয়েছে বিএফআইইউ। এলক্ষ্যে সংস্থাটি প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রাপলিটান পুলিশের ট্রান্সন্যাশনাল এন্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগ এবং গোয়েন্দা ও প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মাসুদ বিশ্বাস অবৈধ হুন্ডি ও লেনদেনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সকল সংস্থার একযোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সংক্রান্ত সংস্থাসগুলোর কাজের সমন্বয় করা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান তিনি। এ বিষয়ে বিএফআইইউ তথ্য ও ইন্টেলিজেন্স দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।

এছাড়াও সভায় একটি উপস্থাপনে তুলে ধরা হয় কিভাবে অবৈধ হুন্ডি, অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিং এর মাধ্যমে মুদ্রা পাচার, সামাজিক অবক্ষয় ও যুবসমাজ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *