ইউএফও বা যাকে সাধারণভাবে বিশ্বের বাইরের কোনো উন্নত প্রাণির মহাকাশযান বলে মনে করা হয়। এবার সেই অন্য গ্রহের প্রাণির যান ইউএফও-র অস্তিত্ব নিয়ে শুনানি শুরু হলো মার্কিন কংগ্রেসে।
ইউএফও আদৌ আছে না নেই, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহে উন্নত প্রাণির অস্তিত্ব আছে কি নেই, তানিয়ে প্রচুর তর্ক হয়েছে। অসংখ্য সায়েন্স ফিকশন লেখা হয়েছে। সিনেমা হয়েছে।
আসলে সাবেক গোয়েন্দা অফিসার ডেভিড গ্রাশ দাবি করেছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইউএফও নিয়ে তথ্য চেপে যাচ্ছে। পেন্টাগন অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে।
কংগ্রেসের কমিটিকে গ্রাশ বলেছেন, সরকারের কাছে ইউএফও-র (পেন্টাগন বলে ইউপিএ) বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য আছে, সেই বিষয়ে তার মনে কোনো সংশয় নেই। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে থাকার সময় তাকে জানানো হয়, একটি ইউএফও ভেঙে পড়েছিল এবং বিপরীত প্রকৌশলের মাধ্যমে তা পুনরুদ্ধার করা হয়।
গ্রাশ জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়ে আমি তথ্য সংগ্রহ করি। আমার ওপরওয়ালাদের কাছে রিপোর্ট করি। তারপর আমি এক্ষেত্রে হুইসিলব্লোয়ারের কাজটা করছি।’ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি গোপনীয়। তাই তিনি এর বেশি কিছু জানাতে পারবেন না।
গ্রাশ বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বেশ কিছু মানুষের সাক্ষ্য নিয়েছেন। এই সব মানুষরা ইউএফও-র বিষয়ে জানতেন। তারা যা বলেছেন, তার সঙ্গে ছবি দেখিয়েছেন, সরকারি নথিপত্রে যা আছে-এ সবের ভিত্তেই তিনি তার সিদ্ধান্তে এসেছেন।
কংগ্রেস সদস্য টিম বুরচেটও বলেন, ‘সরকার বিষয়টি গোপন করছে। আমরা এই গোপন বিষয়টি সামনে আনব। এটা স্বচ্ছতার প্রশ্ন। আমরা সেই সরকারকে সমর্থন করি না, যারা নিজের দেশের মানুষের উপর ভরসা করে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা ইউএফও নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। অন্য গ্রহের মহাকাশযানের বিপরীত প্রকৌশল নিয়েও কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বিশ্বের বাইরে প্রাণ আছে কিনা, সে ব্যাপারেও তিনি কিছু বলতে পারবেন না। আমরা এটুকু বিশ্বাস করি, কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মার্কিন নৌ ও বিমান বাহিনীর পাইলটরা কিছু জিনিস রিপোর্ট করেছেন, তার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই।
পেন্টাগনের অল ডোমেইন অ্যানামলি রেসোলিউশন অফিসের প্রধান কিরপ্যাট্রিক জানিয়েছেন, তারা এই বছরের গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের হাতে ইউএফও নিয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই।
গত মে মাসে নাসার তরফ থেকে বলা হয়, আরো বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে ইউএফএ-র ব্যাখ্যা করা দরকার। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি