বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও জোরদারের তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দারুণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে দু’দেশের বাণিজ্যকে আরও জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। ভারতে রপ্তানি করার মত বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাময় পণ্য রয়েছে যেগুলো ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি টাইলস, সিরামিক পণ্য, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, বাইসাইকেলসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই পণ্যগুলো বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রয়োজনে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভারতের জন্য স্পেশাল ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করতে পারে সরকার। সেখান থেকে পণ্য উৎপাদন করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সরবরাহ করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করার জন্য দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
সৌজন্য স্বাক্ষাতে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলোদেশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি। ভারত বর্তমানে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, শাহ জালাল (বাচ্চু), প্রীতি চক্রবর্তী, সার্ক চেম্বারের সহ সভাপতি শাফকাত হায়দায় প্রমুখ।