বাজারমূলধনে নতুন রেকর্ড গড়েছে আইফোন ও ম্যাকবুকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেশন। প্রথমবারের মতো কোম্পানিটির বাজারমূলধন ৩ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ লেনদেন দিবসে (৩০ জুন) কোম্পানিটির বাজারমূলধন দাঁড়িয়েছে ৩.০৫ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ৫ হাজার কোটি ডলার। এটি বিশ্বপুঁজিবাজারের ইতিহাসে একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ বাজারমূলধন।
অ্যাপলের বাজারমূলধন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির চেয়ে বেশি। এটি বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৬ গুণ। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার তথ্য অনুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৪৬০.২ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের ১৯৫টি স্বাধীন দেশের মধ্যে ১৮৯টির জিডিপির চেয়ে অ্যাপলের বাজারমূলধন বেশি। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের জিডিপির চেয়ে কম।
১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া অ্যাপলের বাজারমূলধন ২০২০ সালের শেষভাগে প্রথম ২ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। সেখান থেকে মাত্র ২ বছর ১০ মাস সময়ের মধ্যে গত শুক্রবার এটি ৩ লাখ কোটি ডলারের উন্নীত হয়। এদিন নাসদাকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ শতাংশ বেড়ে ১৯৩ দশমিক ৯৭ ডলারের উন্নীত হয়। আর তাতেই কোম্পানিটির বাজারমূলধন ৩ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
উল্লেখ, একটি কোম্পানির বাজারমূলধন হচ্ছে, ওই কোম্পানির আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ারের মূল্যের সমষ্টি। ধরা যাক, এবিসি কোম্পানির আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ারের সংখ্যা ৫ কোটি। আর এর প্রতি শেয়ারের বাজারমূল্য ১০০ ডলার। তাহলে কোম্পানিটির বাজারমূলধন হবে ৫০০ কোটি ডলার।
একটি কোম্পানির বাজারমূলধন ওই কোম্পানির প্রকৃত মূল্যকে নির্দেশ করে।