শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক হিসাবে স্থায়ী সম্পদ নিয়ে গরমিল তথ্য পেয়েছেন নিরীক্ষক। এছাড়া নগদ অর্থের সত্যতা পাননি। কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এই তথ্য জানিয়েছেন।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ২০২১ সালের ৩০ জুন ৪৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ (অবচয় শেষে) দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই সম্পদের অস্তিত্ব ও সত্যতা যাচাই করা যায়নি। কারন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে স্থায়ী সম্পদের সফট বা হার্ড কোন রেজিস্টার নেই।
এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ ক্রয় দেখিয়েছে। কিন্তু তারা নিরীক্ষককে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বা সঠিক প্রমাণাদি দিতে পারেনি। যেমন তারা ওই সম্পদ ক্রয়ের প্রকৃত বিল/ইনভয়েস, রিসিপ্টস নোটস, চালান, ভ্যাট ও ট্যাক্স কাটার ডকুমেন্টস, মানি রিসিপ্ট ইত্যাদি দেখাতে পারেনি। ফলে ওই সম্পদ আদেও কেনা হয়েছে কিনা, তার সত্যতা নেই।
ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থতার দায়ে ব্যাংক এশিয়া নিলামে এমারেল্ড অয়েলের একটি ফ্ল্যাট ২ কোটি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু ওই বিক্রি করা সম্পদের বিষয়ে সঠিক ও পর্যাপ্ত ডকুমেন্টসের অভাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে গেইন বা লসের তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি। যেমন প্রকৃত ক্রয় মূল্য, পূঞ্জীভূত অবচয়, বোর্ড অনুমোদন, নিলাম প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস, গেট পাস ইত্যাদি নেই। তারা ওই সম্পদ বিক্রির বিপরীতে পূঞ্জীভূত অবচয়ও সমন্বয় করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ৩০ জুন নগদ দেখিয়েছে ৯৬ লাখ টাকা দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কিন্তু সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চিঠি দিলেও ওই অর্থের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এমারেল্ড অয়েলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬১.৭৪ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (২১ জুন) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৩৭.৫০ টাকায়।
বি:দ্র: এমারেল্ড অয়েলের বিভিন্ন কেলেঙ্গারী নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক সংবাদ।