ভারতের অনাপত্তির মুখে এশিয়া কাপ সরে যেতে বসেছিল পাকিস্তান থেকে। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে ভারতকে রাজি করিয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কাকেও। ভারত তাদের সব ম্যাচই খেলবে শ্রীলঙ্কাতে।
এক সময় পিসিবির দাবি ছিল ভারত এশিয়া কাপে খেলতে পাকিস্তানে না গেলে তারাও ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পাকিস্তান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ অক্টোবর বিশ্বকাপে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের ব্যাটিং গ্রেট জাভেদ মিয়াঁদাদ জানিয়েছেন তার কাছে ক্ষমতা থাকলে বিশ্বকাপ বয়কট করতেন তিনি।
এর পেছনে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান ২০১২ সালে ভারত সফর করেছে। এমনকি ২০১৬ সালেও (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে) গিয়েছিল। এবার ভারতীয়দের এখানে (পাকিস্তানে) আসার পালা। আমাকে যদি সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হতো, আমি কখনোই ভারতে যেতাম না। এমনকি বিশ্বকাপ খেলতেও নয়। আমরা সব সময় ওদের সঙ্গে খেলতে প্রস্তুত থাকি। কিন্তু ওরা সেভাবে সাড়া দেয় না। পাকিস্তানের ক্রিকেটের মান ভারতের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা এখনো অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করছি। তাই আমরা ভারতে না গেলেও কিছু আসবে-যাবে না।’
এই কিংবদন্তি ব্যাটার আরও বলেন, ‘একা একা কেউ প্রতিবেশী বাছাই করতে পারে না। একে-অন্যকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হয়। আমি সব সময় বলে এসেছি, ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেটা দুই দেশের মানুষকে একত্রিত করতে পারে, ভুল ধারণার অবসান ঘটাতে পারে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়েছেন। দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হলেও একসময় নিয়মিত খেলা হতো। কিন্তু মোদির মতো চরমপন্থী যত দিন আছে, তত দিন এটা সম্ভব নয়।