নভেম্বর ১৬, ২০২৪

ইরানের ওপর আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পথ সুগম করার লক্ষ্যেই তেহরান উচ্চ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামি।

শনিবার তেহরান থেকে প্রকাশিত এত্তেলায়াত পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০২০ সালে ইরানের পার্লামেন্টে পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা সংক্রান্ত যে আইনটি পাস হয়েছিল তারও লক্ষ্য ছিল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পথ সুগম করা। পার্লামেন্টের ওই আইন অনুসরণ করেই তার সংস্থা শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালবান্দি প্রথম তার সংস্থায় শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন।

২০১৫ সালে আমেরিকাসহ ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় ইরান সর্বোচ্চ শতকরা চার মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। ওই চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ইরান ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে আসছিল। ইরানের ওপর এই সীমাবদ্ধতা আরোপের বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো।

কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার পরমাণু সমঝোতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে চুক্তিটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল হয়ে যায়। এ অবস্থায় ২০২০ সালে ইরানের পার্লামেন্ট একটি আইন পাস করে। ওই আইনে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো পরমাণু সমঝোতা মেনে না চললে ইরানেরও তা মানার প্রয়োজন নেই এবং যতটা সম্ভব উচ্চ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে হবে।

দৈনিক এত্তেলায়াত পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ ইসলামি পরমাণু সমঝোতা অকার্যকর হয়ে পড়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে বলেন, তারা আবার এ সমঝোতায় ফিরে এলে ইরানও নিজের প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাবে। পার্সটুডে

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...