নভেম্বর ১৫, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের পর থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে বলেই সব দিক থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে। আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়েছে কারণ স্থিতিশীল পরিবেশ আছে। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত হিসেবে অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।

রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে ছিটমহল বিনিময় করেছি। তাহলে কেন এই অস্ত্র ব্যবসা। সেটা কেন শিশুদের খাবারের জন্য ব্যয় করা হয় না। আমরা রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছি। কারণ আমাদের মনে ছিল ৭১ এর শরণার্থী শিবিরের কথা।

তিনি বলেন, তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

জাতির পিতা কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকার প্রধান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এ দেশে কেউ দরিদ্র, ভূমিহীন থাকবে না। সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক ক্যু হয়। অনেককে হত্যা করা হয়। এমন একটা অশান্ত পরিবেশে দেশের মানুষকে ২১ বছর কাটাতে হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...