এপ্রিল ৩০, ২০২৪

কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না—এটি কোনও প্রভাব ফেলবে। আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেটির সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত থাকে। এটি একটি প্রটোকল সম্পর্কিত বিষয়।’

মানবাধিকার, নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে সরকারের। এই মুহূর্তে রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এগুলো চলমান ইস্যু। এগুলোর সঙ্গে অন্য বিষয়গুলোকে জড়িয়ে ফেলাটা মনে হয় স্পেকুলেশন হবে।’

এটা এখন কেন করা হলো—সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কোনও না কোনও সময় এটি করাই হতো। সুতরাং, সময় নিয়ে অনেকে হয়তো বিভিন্ন ধরনের চিন্তা করছে। কিন্তু এটি এমনিতেই করা হতো।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা, অর্থাৎ পুলিশের এসকর্ট সোমবার (১৫ মে) থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। একাধিক সূত্র বলছে, ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলো অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমার জানা মতে, চারটি দেশকে নিয়মিত (পুলিশ এসকর্ট) দেওয়া হতো। এছাড়া একটি বা দুটি দেশ চাইলে তাদেরও দেওয়া হতো।’

ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স

রাষ্ট্রদূতদের যে পুলিশ এসকর্ট দেওয়া হতো, সেটা মূলত ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজ করতো।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, বাড়তি সিকিউরিটি, অর্থাৎ পুলিশ এসকর্ট ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজ করতো। সুতরাং, তাদের আসল যে নিরাপত্তার বিষয়টি, সেটি অপরিবর্তিত আছে।

দূতাবাসকে সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখানে জানানোর বিষয়টি ছিল না…, আমাদের যে রেকর্ড আমরা দেখেছি, সেখানে তাদের তরফ থেকে কোনও অনুরোধ ছিল—সেরকম কিছু খুঁজে পাইনি, বা আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে, সেরকম কিছু হয়নি। এটা হোলি আর্টিজানের সময়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের যে সম্ভাবনা ছিল, সেটা বিবেচনায় বা নিরাপত্তার বিবেচনায় সেটি দেওয়া হয়েছিল।’

নিরাপত্তা অব্যাহত রয়েছে

দূতাবাস, কূটনীতিক ও তাদের সামগ্রিক নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার দিক থেকে ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কারণগুলো আমরা বিবেচনা করে দেখেছি, যে সময়ে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, ওই সময়কার পরিস্থিতি থেকে এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।’

মোমেন বলেন, ‘বিদেশি দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের যে মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে, সেটি পালনে আমরা কখনোই পিছপা হবো না এবং এটির নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

বিকল্প ব্যবস্থা

নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছে সরকার। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা বিকল্প একটি ব্যবস্থা করেছি। আনসার স্পেশাল ব্যাটালিয়ানকে অনেক দিন ধরে তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা আনসারের মহাপরিচালকের সঙ্গে বসবো এবং তাদের কী কী পরিষেবা আছে, সেটি জেনে দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেবো। যারা ওই পরিষেবা নিতে চাইবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দেবো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *