শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলসের সমস্যার কোন শেষ নাই। যাতে কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। তারপরেও স্বল্পমূলধনী হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার দর অনেক মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির থেকে বেশি।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, দুলা মিয়া কটনের ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির পূঞ্জীভুত লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়।
ওই কোম্পানিটির চলতি দায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। যা কোম্পানিটির মোট সম্পত্তির তুলনায় ২২ কোটি ৪ লাখ টাকা বেশি। অর্থাৎ কোম্পানিটির পক্ষে বর্তমানে দায় মেটানোর সক্ষমতা নেই।
এছাড়া দুলামিয়া কটনে শ্রমিক ভোগান্তি, পাওনাদারের টাকা পরিশোধে অক্ষমতা, মূল ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়গুলো খারাপ অবস্থায় চলে যাওয়া, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে লভ্যাংশ প্রদান না করা, নতুন পণ্য বাজারজাতকরনে অর্থের যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে অক্ষমতা, ধারাবাহিক উৎপাদনে না থাকা, দক্ষ ম্যানেজমেন্টের অভাব এবং ঋণাত্মক সম্পদ ও ঋণাত্মক পরিচালন নগদ প্রবাহের মতো সমস্যা তৈরী হয়েছে।
যা কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা নিয়ে খুবই শঙ্কা তৈরী করেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
দুলামিয়া কটনের ব্যবসা এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও রবিবার (০৯ এপ্রিল) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৭০.৮০ টাকায়। এর পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কম। এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া দুলামিয়া কটনে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৬.৯৯ শতাংশ। যে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ০.৩৭ টাকা লোকসান হয়েছে।