সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে তিন দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরাল হয়। সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ প্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি পর্যালোচনা করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে ওই কমিটি।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ছেলেদের ৩৫, মেয়েদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি।
এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ সরকার আমাদের আবেগকে মূল্যায়ন করেছে। তারা একটি কমিশন গঠন করেছে। যেহেতু এই কমিশন আমাদের যুক্তি শুনে, কথা বলে, গবেষণা করে পুরুষের জন্য ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে- আমরা চাই সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত প্রজ্ঞাপন দেয়া হোক।
৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, যদি তিন কর্ম দিবসের ভেতর এ সুপারিশ অনুযায়ী উপদেষ্টাবৃন্দ এবং রাষ্ট্রপতি স্বীকৃত প্রজ্ঞাপন দেয়া না হয়, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের বিছানা হবে রাজপথ।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিবেদনে চাকরিতে প্রবেশে ছেলেদের ৩৫ এবং মেয়েদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলাপ-আলোচনার পর সেটি চূড়ান্ত হতে পারে। তবে অবসরের বয়সসীমা নিয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি।
সূত্র আরও জানায়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার ধরন ও কর্মসংস্থানের সুযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে এমন সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি।