ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

বর্তমানে ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ২৩ হাজার ১৫৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪১টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। এ ছাড়া ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ১১ হাজার ৩০৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াধীনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে মোট ৯ হাজার ৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

এ ছাড়া মোট ২ হাজার ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

সরকারি দলের সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরীর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার কর্তৃক জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ প্রসারের লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যার সম্মিলিত ক্ষমতা ৯৭১.৭০ মেগাওয়াট।

ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে ৭.৬ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এই কেন্দ্র হতে ইতোমধ্যে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৮৮.৭৫ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার আরও একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। যার বাস্তবায়ন কাজ চলতি বছরের জুনে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...