নভেম্বর ১৪, ২০২৪

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও কমিশন ভবনে তিনি একথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচনি মনিটরিং কমিটি আছে তারা প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইসি থেকে কয়েকজনকে সরাসরি শোকজ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে একাধিকবার। এছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার ও মামলা করা হয়েছে।

কমিশনার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেটা আছে, সেটাই করছি। কার প্রার্থিতা বাতিল করব এটা তো অগ্রিম বলা যাবে না। রিপোর্ট কী, কী আছে সেগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা তো রিপোর্টই পাইনি। রিপোর্ট আসলে, আমরা বসব আলোচনা করে দেখব। যাচাই বাছাই করতে হবে, তারপর সিদ্ধান্ত।

নৌকার প্রার্থীদের মানানো যাচ্ছে না, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়াতে পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই দাবিটা সঠিক না। নির্বাচনি ডামাডোলে সবাই এখন ব্যস্ত আছে। সব চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখি। নির্বাচনের আনন্দ সব জায়গায় দেখছি। ১৮০০ ওপরে প্রার্থী। তার সমর্থক কত, ভোট কেন্দ্র কত?

তিনি বলেন, একটা আসনে তো আর একা না। সেখানে আরও অনেক সমর্থক আছে। গড়ে যদি আমরা ছয়জন বা সাতজন করে ধরি এবং তাহলে কিন্তু তাদের অনেক সমর্থক আছে। সেখানে টুকটাক ছোট ঘটনা হতে পারে। বাংলাদেশের সব নির্বাচনে এই ধরনের ঐতিহ্য আছে। এবারও ব্যতিক্রম না। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব জায়গায় কঠিন বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জন করে নির্বাচন করাটা কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, সেটা আমরা অস্বীকার করছি না। তারা আসলে আরও ভালো হতো, নির্বাচনটা ব্যালেন্সড হত। যেখানে আমরা খুব সহজে পজেটিভ রেজাল্ট পেতাম। এজন্য আমাদের বলতে হবে নির্বাচনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...