পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি (১০ জুন রাত ২টা ৫৯ মিনিট) পৌঁছেছেন ৭৬ হাজার ৩২৫ জন হজযাত্রী। মোট ১৯৩টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫ হাজার ২১৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৭১ হাজার ১০৮ জন হজযাত্রী। আবেদনের বিপরীতে শতভাগ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখনও হজে যেতে বাকি ৮৯৩২ জন হজযাত্রীর। অন্যদিকে বুধবার (১২ জুন) শেষ হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। সে হিসেবে আজ সোমবারসহ তিনদিনে বাকি ৮৯৩২ জন হজযাত্রীকে সৌদি পৌঁছাতে হবে। এই তিনদিনে বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসে শিডিউল করা ২১টি ফ্লাইট রয়েছে।
হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত মোট ১৯১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৬৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট ফ্লাইটের ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, আর মোট হজযাত্রীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ সৌদি পৌঁছেছেন।
এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ ৬ জুন মক্কায় শেখ আরিফুল ইসলাম (৫৭) নামে একজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও একজন মহিলা। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।
সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন।