

নিজেদের জনপ্রিয় পণ্য বেবি ট্যাল্ক পাউডার ব্যবহারের জেরে যেসব ক্ষতিগ্রস্ত যেসব মার্কিন নাগরিক মামলা করেছেন, তাদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও ৭০ কোটি ডলার প্রদান করতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি এবং চিকিৎসা সামগ্রী ও প্রসাধান প্রস্তুতকারী জায়ান্ট জনসন অ্যান্ড জনসন। ক্ষতিপূরণের ৪৪ কোটি প্রদান করা হবে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের মামলাকারীদের।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে লেটিশিয়া জেমস বলেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যাল্ক পণ্য ব্যবহারের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অর্থ দিয়ে তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে মার্কিন প্রশাসন এই কোম্পানিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর।
বিশ্বজুড়ে একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাওয়ারে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির অভিযোগ ওঠে ২০১৮ সালে। পরীক্ষায় সেই অভিযোগ প্রমাণিতও হয়।
তারপর দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মধ্যে ৪২টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটনের বিভিন্ন আদালতে জনসন অ্যান্ড জনসনের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন শত শত নারী। মামলাকারীদের অনেকেই এজাহারে জানান, এই বেবি পাউডার ব্যবহারের পর ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তারা। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকজন মামলাকারীর মৃত্যুও হয়েছে। তাদের সবার মৃত্যুর কারণ ডিম্বাশয়ের ক্যানসার।
এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মুখে ২০২০ সালে বাজার থেকে নিজেদের সব বেবি ট্যাল্ক পাউডার প্রত্যাহার করে নেয় জনসন অ্যান্ড জনসন। ১৯৭১ সাল থেকে এই পণ্য তৈরি করে আসছিল কোম্পানি।
২০২২ সালে এক বিবৃতিতে ট্যাল্ক পাউডার আর তৈরি করবে না বলে ঘোষণা দেয় জনসন অ্যান্ড জনসন।
এর আগে গত বছর এপ্রিলে মামলাকারীদের ৮৯০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল জনসন। সেই হিসেবে এবার দ্বিতীয় দফা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে কোম্পানিটি।