সম্পর্ক গড়তে যতটা সময় লাগে, ভাঙতে তত সময় লাগে না। এ কারণেই হয়ত সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন অনেকে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয় মনে থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
হঠাৎ করে কোনো সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে না। এর পেছনে থাকে দীর্ঘ দিনের চাপা তিক্ততা, অপ্রকাশিত অনুভূতি, ক্ষোভ। এগুলো একটু একটু করে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। অনেকেই সেটা বুঝতে পারেন না। যার কারণে হঠাৎ বিচ্ছেদে কঠিন এক মানসিক চাপের মুখে পড়ে যান। কী করে বুঝবেন সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছে কি না?
সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব
মনের মিল স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি। সম্পর্ক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একে অপরের মনের সঙ্গে সংযোগ থাকা জরুরি। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে কি আপনার মনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে? মানসিকভাবে তার কাছে পৌঁছাতে পারছেন না? তাহলে কিন্তু সম্পর্ক নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে। সম্পর্কের অবনতি নিয়ে সতর্ক হোন।
শারীরিক সম্পর্কে অনীহা
দৃঢ় সম্পর্কের আরও একটি ধাপ হলো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা। সঙ্গীর সঙ্গে একাত্ম হওয়ার অন্যতম মাধ্যম এটি। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা আর গভীর অনুভূতি থাকলে শরীরের উদযাপন যেন আরও ভালো হয়। কিন্তু সেই উদযাপন কি একঘেয়ে লাগছে? তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই একমাত্র সমাধান হতে পারে না।
বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা
একটা সম্পর্ক জন্ম নেয় তখনই যখন পরস্পরের প্রতি একটা প্রগাঢ় বিশ্বাস গড়ে ওঠে। বিশ্বাস ছাড়া কোনো সম্পর্ক এগোতেই পারে না। আর যদি সেই বিশ্বাসটাই হারিয়ে যায় তাহলে সম্পর্কে ঘুণ ধরেছে কি না তা যাচাই করে দেখুন। তেমন হলে বেরিয়ে আসুন সম্পর্ক থেকে।
সম্পর্ক নিয়ে অবসাদ
প্রেম মনের যত্ন নয়। ভালোবাসা হলে মন আনন্দে ভরে থাকে সারাক্ষণ। সম্পর্ক নিয়ে কেউ সত্যি খুশি হলে তার আভাস পাওয়া যায় বাইরে থেকেই। কিন্তু যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, অবসাদ ডেকে আনে, সেই সম্পর্কে ইতি টানাই শ্রেয়। সম্পর্ক থেকে যদি শুধুই মনঃকষ্ট প্রাপ্তি হয়, তাহলে বিচ্ছেদ সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সম্মান ক্ষুণ্ন হলে
প্রেমে সম্মান থাকা জরুরি। সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা, আবেগ, অনুভূতি তো থাকবেই। কিন্তু সেই সঙ্গে প্রাপ্য সম্মানটুকুও দিতে হবে। যদি দেখেন সম্পর্কে আপনার কোনো সম্মান নেই তাহলে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না করাই হয়ত ভালো।