নিজস্ব অর্থায়নে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যাংক কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ যেতে পারবেন। পাশাপাশি পবিত্র হজ পালন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ ছাড়া আরও দুই কারণেও অনুমতি লাগবে না। তবে ব্যাংক-কোম্পানীর অর্থায়নে কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংক-কোম্পানীর অর্থায়নে প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, ব্যবসায়ীক ও চুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজে বিদেশ যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না ব্যাংকারদের। এজন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ‘‘বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ নীতিমালা’’ করার নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীদের বিদেশ ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে সব ধরনের বিদেশ যাত্রা গত ২০২২ সালের মে মাস থেকে বন্ধ রেখেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামাল দিতে নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রাখা হয়।
নিজ অর্থায়নে বাংলাদেশে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মত অন্যান্য ব্যাংকারের বেলাতেও হজ ও জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশ যাত্রার সুযোগ রাখা হয় ২০২২ সাল থেকে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কয়টি বিষয়ে ভ্রমণে অনুমোদন লাগবে না-
১. নিজস্ব অর্থায়নে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে, পবিত্র হজ পালন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ থাকা সাপেক্ষে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ;
২. ব্যাংকে কর্মরত বিদেশী নাগরিকের নিজ দেশে গমন;
৩. বিদেশী ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ে গমন;
৪. বিদেশস্থ প্রতিসংগী ব্যাংকের সাথে ব্যবসায়িক সভায় অংশগ্রহণসহ দাপ্তরিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এরূপ সভায় অংশগ্রহণ;
৫ বিদেশী আয়োজক সংস্থার সম্পূর্ণ অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ওয়ার্কশপ/স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণ।
২০২২ সালের মে মাসে দেওয়া এ সংক্রান্ত সার্কুলার প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিদেশ যাত্রায় আগের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।