দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। শনিবারেও (১০ আগস্ট) বিকেল ৩টায় শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে, ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা শাহবাগের আগের মোড়গুলোতে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ায় সড়কে যানজট বাড়লেও যানচলাচল একেবারেই স্থবির হয়ে পড়েনি। রাত সোয়া ৭টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ হয়। এর পর সড়কে যানচলাচল শুরু হয়।
চার দাবি হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে ভক্ত সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শান্তি রঞ্জন মণ্ডল বলেন, হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হচ্ছে। কিন্তু, সেখানে নিরাপত্তা দেওয়ার মতো কেউ নেই। প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনেকে বর্ডারে গিয়ে বসে আছে৷ তাদেরকে সম্মানের সহিত বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আজ থেকে একটা হিন্দু বাড়ি, মন্দির যেন পাহারা দিতে না হয়। যেভাবে মসজিদ পাহারা দিতে হয় না, সেভাবে মন্দিরও যেন পাহারা দিতে না হয়।