ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মিছিলে হামলার জবাবে আগুন দেওয়া হয় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পোড়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির অফিসের নিচতলা পুড়ে যায়। ছিড়ে ফেলা হয় আশপাশের সব ব্যানার-ফেস্টুন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন দেওয়া হয়। ৭টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলেও বিক্ষুদ্ধরা গাড়ি ফিরিয়ে দেয়। পরে আবার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে ৮টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তবে মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে উপর্যুপরি আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।

হাসান আল মামুন বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের আগে থেকেই অবস্থান ছিল। মিছিলটি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা এক হয়ে প্রতিরোধ গড় তোলেন।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অবস্থান রয়েছে।

অন্যদিকে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে বিজয়নগর এলাকায় যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...