নভেম্বর ৯, ২০২৪

কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে তুলে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন ডিএমিপর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, ওই তিন সমন্বয়ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছিলেন। পরে তাদের সেফটি-সিকিউরিটির জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এই তিনজনকে আমরা শুক্রবার রাতে নিয়ে এসেছি। তারা ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে কেউ যদি কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেন, আমাদের দায়িত্ব তাদের সেফটি-সিকিউরিটি দেওয়া। তাই তাদের সেফটি-সিকিউরিটি দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং আরও কিছু নেতাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করছি। তারা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তাই অন্য নেতাদের সঙ্গে সমন্বয়কদের কী কথা হয়েছে এগুলো জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করব। পাশাপাশি আমরা সমন্বয়কদের সেফটি-সিকিউরিটি দেব।

এর আগে গতকাল (২৬ জুলাই) হাসপাতালে থাকা নাহিদের স্বজনরা জানান, ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আসিফ ও বাকেরকে তুলে নেয়। এই তিন জনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় তাকে। এর পর থেকে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তার সঙ্গে ছিলেন বাকের। তারা তিন জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...