জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের জন্যে ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিক দলগুলোকে ছয়টি দেওয়া হয়েছে।
জাপাকে দেওয়া আসনগুলো হলো
ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ জি এম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ মুস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ মো. আব্দুর রশীদ সরকার, বগুড়া-২ শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাতক্ষীরা-২ মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ মো. মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মুজিবুল হক চুন্নু, মানিকগঞ্জ-১ জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১৮ শেরীফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আব্দুল হামিদ, ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান এবং চট্টগ্রাম-৮ সোলায়মান আলম শেঠ।
শরিকদের দেওয়া আসনগুলো হলো
বগুড়া-৪ আসনে জাসদ প্রার্থী এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন, রাজশাহী-২ আসনে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বরিশাল-২ বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) আনোয়ার হোসেন এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জাসদ প্রার্থী মোশারফ হোসেন।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।