ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন সুধারাম থানা-পুলিশের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. শাহ আলম।

তিনি জানান, সোমবার সকাল ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা কারাগার থেকে নোয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে জেলা সদরের দত্তেরহাট এলাকায় ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন হত্যা মামলায় ১ নম্বর আমলি আদালতে উপস্থাপন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো.সাবজেল হোসেন। এ বিষয় শুনানি শেষে বিচারক ইকবাল হোসাইন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নোয়াখালী জেলা সদরের দত্তেরহাট এলাকায় ২০১৩ সালে বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি চলাকালে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন নিহত হন। এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতা-কর্মীকে আসামি করে নিহত ট্রাক শ্রমিক মো. খোকনের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাটের দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকেরা। ট্রাক ট্যাক্সিতে শ্রমিক খোকন সেসময় নিজ বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাচ্ছিলেন। সেখানে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় একরামুল করিমসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে খোকন গুলিবিদ্ধ হন। খোকনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...