নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আগামী ২৭ ডিসেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। সবশেষ তথ্যানুসারে ২৭টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসন থেকে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আর শরীক দলের প্রার্থীরা ৬টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৩জন। এ পর্যন্ত ১৮৮৬ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আশা করি, এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। আর যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢালাওভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইসির তথ্য মতে, ৩৪৭টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাঁচটি স্থগিত রয়েছে। এ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে ২৭টি রাজনৈতিক দল। রোববারই (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দলীয় ও জোট শরিক প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তালিকা মোতাবেক, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৩ আসনে লড়বে তারা। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এর আগে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এরমধ্যে ৫টি আসন ইসির বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়।

জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, শফিকুল ইসলাম শফিক, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...