ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

২৭তম বিসিএসে প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করার রায় বৈধ ঘোষণা বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে ১১১৪ জনের রিভিউ আবেদন শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ৪ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

২০১০ সালে ২৭তম বিসিএস’র প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করার বৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এদিকে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা লিভ টু আপিল কিছু পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করা হয়।

সে সময় প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় সরকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে। মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উত্তীর্ণরা রিট আবেদন দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারের সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিয়ে রায় দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট রিট আবেদনকারীরা আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। অপরদিকে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ তিনটি পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ গত বছরের ১১ নভেম্বর এ রায় দেন। সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনটি লিভ টু আপিল আবেদন দাখিল করেন। একইদিন আপিল বিভাগ কিছু পর্যবেক্ষণসহ এই আবেদনগুলোরও নিষ্পত্তি করেন।

২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। ওই বছরের ৩০ জুন জরুরি অবস্থার সরকার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে দেয় এবং এর দুইদিন পর প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করা হয়। ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ফল অনুযায়ী দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩২২৯ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...