চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭৬ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে প্রবাসী আয় দাঁড়াবে ২১০ কোটি ৬৮ লাখ ডলারে। প্রবাসী আয় পরিস্থিতি আগের মাসের তুলনায় বাড়বে। আগের মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫২ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।
এদিকে ডলার বাজারের অস্থিরতা ও বৈদেশিক এ মুদ্রার অভাবে এলসি খুলতে পারছে না অনেক ব্যাংক। আমদানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পুরনো আমদানির দায় মেটাতেও নাভিশ্বাস ব্যাংকগুলোর। সংকট নিরসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরী পণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের পরিমাণ ও কমছে।
তবে এসব অভাব-অনটনের মাঝেও নগদ ডলারের বেচা-বিক্রি চলছে খোলা বাজারে। মানুষের হাতে থাকা নগদ ডলার ফেরাতে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিনব কৌশলী। টাকার বিপরীতে কমানো হয়েছে ডলারের দর। তবুও কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।