নিলামের মাধ্যমে ২৫ কেজি বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগিরই নিলামের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এ নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
চোরাই পথে আনার সময় আটক স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। এ পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে আটক স্বর্ণের পরিমাণ সাড়ে ৬ হাজার কেজির মতো। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে ২ হাজার ৪২৯ কেজি।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে স্থায়ী খাতে জমা আছে ৯৬ কেজি ৪৩০ গ্রাম। এরমধ্যে স্বর্ণবার ৫৭ কেজি ১৫৯ গ্রাম এবং বাকি ৩৯ কেজি ২৭১ গ্রাম স্বর্ণালংকার বা মিশ্রিত স্বর্ণ।
আর অস্থায়ী খাতে (মামলা চলমান) আছে ২ হাজার ৯০০ কেজির মতো। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। এরমধ্যে স্বর্ণবার ছিল ৬৫৪ কেজি। বাকি ৪৩৩ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার।
স্থায়ী খাত থেকেই ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৪ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে দরপত্র কিনে জমা দিতে বলা হয়। প্রাথমিকভাবে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে স্বর্ণকার নিয়ে ভল্টে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর দরপত্র জমা নেওয়া হয়। প্রকৃত বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দাম প্রস্তাব করায় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে ২১ কেজি ৮২২ গ্রাম স্বর্ণ বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের শুরুর দিকে তিন ধাপে আরও ২৫, ২১ ও ২০ কেজি বিক্রি করা হয়। উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন পর গত নভেম্বরে নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়।