তিন মাসের মাথায় কানাডার পরপর দুই খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী খুনে চড়ছে পারদ। কে বা কারা এক এক করে নিকেশ করছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ? নেপথ্যে ভারতীয় গুপ্তচরদের হাত ? নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য ?
বুধবার রাতে সুখদুল সিং গিল ওরফে সুখা দুনেকের হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কানাডার উইনিপেগে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুনেকের বুক। গত জুনে ঠিক একই কায়দায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর।
দুনেকে খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই Facebook-এ পোস্ট করে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সেখানে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে সে। বাম্বিহা গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল সুখা দুনেকে। পঞ্জাব পুলিশের দাবি, বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে এই গ্যাংয়ের যথেষ্ট রেষারেষি ছিল। সেই কারণেই খুন বলে অনুমান ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
কে লরেন্স বিষ্ণোই?
কুখ্যাত এই গ্যাংস্টারের সঙ্গে রাজনীতিবিদ থেকে ধনী ব্যক্তিদের যোগাযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজি সহ একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। এই মুহূর্তে তার গ্যাংয়ের প্রায় ৭০০ সদস্য আছে, সারা ভারতে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলায় ধত্তারনওয়ালি গ্রামে জন্ম লরেন্সের। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে আইনে স্নাতক হয়েছিল এই গ্যাংস্টার। কলেজে পড়াশোনার সময় ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেয়। এর পরেই নিজের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটি গ্যাং তৈরি করে।তারপরেই শুরু হয় তার অপরাধ জগতে যাত্রা।
লরেন্স বিষ্ণোই অভিনেতা সলমন খানকে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন এবং তাঁকে কালো হরিণ শিকার করার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছিল। এই হুমকির পর, মহারাষ্ট্র সরকার সলমন খানকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেয়।এছাড়াও ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্জাবি শিল্পী সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যেও তার ভূমিকার কথা উঠে এসেছে।