ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

২০২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ রোববার (৬ নভেম্বর)। প্রথম দিন বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা।

এ বছর পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন।

মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা এক হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্রে ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ জন ছাত্রী।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ জন ছাত্রী। ১ হাজার ৮৫৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৬৭৩টি কেন্দ্রে তারা অংশ নেবেন।

সূচি অনুযায়ী, সকাল শিফটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। আর বিকেল শিফটের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

পরীক্ষার মোট সময় ২ ঘণ্টা। এর মধ্যে এমসিকিউ/বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট এবং রচনামূলক/সৃজনশীল পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হবে। এমসিকিউ ও রচনামূলক অংশের পরীক্ষার মধ্যে বিরতি থাকবে না।

পরীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনভাবে পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রশ্নপত্র বিতরণের পূর্বে সময়সূচি অনুযায়ী বিষয়, বিষয় কোড, পত্র ও সেট কোড নিশ্চিত হয়ে কক্ষ পর্যবেক্ষকরা বিতরণ করবেন।

এর আগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবমুক্ত, নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...