ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে বন্যপ্রাণীর বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে বন বিভাগ। রোববার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকেই সুন্দরবনে পানির চাপ বাড়তে থাকে। বিকেল নাগাদ সুন্দরবেনের বিভিন্ন এলাকায় ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বিশেষ করে কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া এলাকায় সবথেকে বেশি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকা হরিণ, বানর, শুকরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর অভয়ারন্য। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এসব প্রাণীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন বিভাগ।
এ ছাড়া সুন্দরবনের ভিতরে সবগুলো মিঠা পানির উৎস পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী, বনজীবী ও বনকর্মীদের খাবার পানি নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সুন্দরবন বন বিভাগের বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি সেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি সুন্দরবনের যে মিঠা পানির পুকুরগুলো রয়েছে যেটা বন্যপ্রাণী, বনজীবী এবং বনকর্মীদের খাবারের একমাত্র উৎস, প্রতিটি পুকুরই লোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়া যেহেতু পানির উচ্চতা সেখানে ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত হয়েছে। বনে বাঘ শাবক, হরিণ শাবক কিংবা শকুন শাবক এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী আছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে বন্যপ্রাণীরা এখানে হয়তো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে গাছপালার খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি, হলদিবুনিয়া যে সমস্ত বন্যপ্রাণীর অভায়ারণ্য এলাকা এবং সুন্দরবনের সর্ব দক্ষিণে সেসব জায়গায় ৭ থেকে ১০ ফুটের মতো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। কাজেই এসব স্থানে পানির যে উচ্চতা, পানির যে তীব্র গতিতে প্রবাহ হচ্ছে এখানে নিশ্চিতভাবে বলা যায় বন্যপ্রাণীর যথেষ্ট ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র সময় টিভি।