

ঈদের পর দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। একদিনের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এ অঞ্চলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
একদিন আগেও হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ৮০ টাকা। গতকাল তা বেড়ে পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। একদিন আগেও আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ৭০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা।
এদিকে গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে দেশী পেঁয়াজের প্রয়োজনীয় সরবরাহ রয়েছে। তা সত্ত্বেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে হিলির বাজারগুলোয় আমদানীকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে।
এ বিষয়ে হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত বলেন, ‘ঈদের কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আটদিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ সময় দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তাই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম। ফলে দেশী পেঁয়াজের ওপর চাপ বাড়ায় মোকামগুলোয় পেঁয়াজের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে মোকামে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ টাকা। আর মোকাম থেকে ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে কেজিতে ৮২ টাকা ৫০ পয়সায়। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা তা বাজারে বিক্রি করছেন কেজিতে ৯০ টাকায়।’
আবুল হাসনাত আরো জানান, ঈদের ছুটির পর গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশী পেঁয়াজের ওপর থেকে চাপ কমে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত। এর পর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। দেশটি গত ৪ মে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পান। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।