ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে বন্দি বিনিময়ে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে গাজার শাসক গোষ্ঠীটি এই অবস্থান তুলে ধরেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা হলো, আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হলে বন্দিদের নিয়ে বা বন্দি বিনিময়ে কোনো আলোচনা হবে না।
ইসরাইল ৪০ বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু হামাস তাতে রাজি হয়নি বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে।
ইসরাইলি প্রস্তাব নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে মিশরে রয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন, আর দরকার আরও মানবিক সহায়তা।
এই প্রথমবারের মতো গাজার আরেকটি সংগঠন ইসলামিক জিহাদকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছে। তারাও জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় আটক প্রায় ১০০ জনের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করেছে। তারাও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে।
আলোচনার সঙ্গে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, হামাস মানবিক বিরতি চাচ্ছে না। তারা গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের পূর্ণ অবসান চায়।
হামাস মনে করে, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলে ইসরাইল আরও নৃশংসভাবে হামলা চালাতে থাকবে। কাজেই বন্দিদের বিনিময়েই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকার।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমাদের সব বন্দির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ বন্ধ হবে না। গাজা উপত্যকা থেকে কেউ যেন আর কোনো দিন ইসরাইলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করাকেও গাজা আগ্রাসনের অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু।
বুধবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন।
নেতানিয়াহু বলেন, যেসব লক্ষ্যে গাজায় অভিযান চলছে তার একটি হচ্ছে হামাসকে নির্মূল করা।