ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের আক্রমণে অন্তত ২০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। শনিবারের এ হামলায় আহত হয়েছে আরও অনেকে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এক দিনে হামাসের হামলায় সবচেয়ে বেশি ইসরায়েলি সেনার মৃত্যুর ঘটনা এটি।
ফিলিস্তিনভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বরাতে শনিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্র্যাপে ফেলে রাফার একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই দখলদার সেনাদের খতম করা হয়েছে।
হামাসের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাফার আল-তানুর এলাকার একটি বাড়িতে আগে থেকে বোমা পেতে রেখেছিল আল-কাসসাম ব্রিগেড। ইসরায়েলি সেনারা বাড়িটিতে প্রবেশ করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতেই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। যদিও এ হামলার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি তেল আবিব।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-উত্তর পরিকল্পনা নির্ধারণ না করলে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। ছয়টি ‘কৌশলগত লক্ষ্য’ অর্জনে ৮ জুনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এসব লক্ষ্যের মধ্যে গাজায় হামাসের শাসন অবসান ঘটিয়ে সেখানে একটি বহুজাতিক বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা অন্যতম।
গ্যান্টজ বলেন, আপনি যদি জাতীয়কে ব্যক্তিগতের ওপরে রাখেন, তাহলে এই সংগ্রামে আপনি আমাদের অংশীদার হিসেবে পাবেন। কিন্তু ধর্মান্ধদের পথ বেছে নিয়ে পুরো জাতিকে রসাতলে নিয়ে গেলে আমরা সরকার থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হব। নেতানিয়াহু এসব মন্তব্যকে ‘দ্যর্থহীন কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এর অর্থ হবে ‘ইসরায়েলের জন্য পরাজয়’।
অন্যদিকে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর সেখান থেকে অন্তত আট লাখ ফিলিস্তিনি জীবন বাঁচাতে পালিয়েছেন, উদ্বাস্তু হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। খবর আলজাজিরা, সিএনএন ও বিবিসির।