হজের নিবন্ধন করা যাবে। রোববার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর কথা জানায়। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রোববারই হজের নিবন্ধনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯৩৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ৩৯২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৪৪ জন নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু কোটা অনুযায়ী আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। গত ১৫ নভেম্বর হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছিল।
২০২৪ সালের হজযাত্রী নিবন্ধনের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজকীয় সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০২৪ সালের হজযাত্রীর চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে। এছাড়া ২০২৪ সালের হজে মিনার তাঁবু এলাকাকে ৫টি জোনে এবং প্রতিটি জোনকে ৪টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে মিনায় তাঁবু বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হজযাত্রীর সংখ্যা পাওয়া না গেলে মিনায় কাঙ্ক্ষিত স্থানে তাঁবু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মিনায় জামারাহর নিকটবর্তী এলাকার পরিবর্তে দূরবর্তী, নিউ মুযদালিফা ও পাহাড়ি এলাকায় তাঁবু গ্রহণ করতে হবে। এরূপ পরিস্থিতি এড়ানোর স্বার্থে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় চূড়ান্তভাবে বৃদ্ধি করা হলো। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা হজের নিবন্ধন করতে পারবেন। সরকারি মাধ্যম ও এজেন্সির জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি মাধ্যমে সব প্যাকেজে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে যেতে পারবেন না এবং দেওয়া ২ লাখ ৫ হাজার টাকা মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাবদ ব্যয় হবে বিধায় ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
হজযাত্রীর নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে সরকারি মাধ্যমের ভাড়া করা বাড়ির মধ্যে হারাম শরীফ থেকে অপেক্ষাকৃত কাছের বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার পর প্যাকেজ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকবে না। সরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজে ট্রেন ছাড়া নিবন্ধনের অপশন বাতিল করা হলো। বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবের ব্যয় বাবদ ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে বেসরকারি এজেন্সিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন ফি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো।
হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব ছাড়া প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোনো ব্যক্তির কাছে নগদ প্রদান করা যাবে না এবং হজ এজেন্সিও নগদ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে না। হজ কার্যক্রমের সব সেবা ও প্যাকেজ মূল্য বিস্তারিত উল্লেখ করে হজযাত্রী ও এজেন্সির মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোনো পক্ষের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। হজে গমনের শর্তাবলী, করণীয় ও হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা হজ প্যাকেজ ২০২৪ হতে বিস্তারিত জানা যাবে। হজ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ১৬১৩৬ নম্বরে ফোন করে ও www.hajj.gov.bd হতে জানা যাবে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।