সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী-সন্তানসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

চিঠিতে শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন, তাদের ছেলে সৈয়দ এবতেশাম রফিক ও মেয়ে লামিসা শিরীন হোসাইন এবং মো. শফিউল ইসলামের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে এই পাঁচ জনের বাবা–মায়ের নাম ও ক্ষেত্রবিশেষে স্বামী–স্ত্রীর নাম, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। মো. শফিউল ইসলামের পেশা হিসেবে সরকারি চাকরি ও ‘দি সুবহানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী’ উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। পরে তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এরপর থেকে টানা তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংসদ ভেঙে দেন এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ২৭ দিনের মাথায় গত ২ সেপ্টেম্বর স্পিকার হিসেবে পদত্যাগ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তা গ্রহণ করা হয়। সেদিনই পদত্যাগপত্র কার্যকর করা হয় বলে সরকারি এক গেজেটে জানানো হয়েছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে। রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৭ আগস্ট শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন টিপু মুনশি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *