অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক কোনো এজেন্ডা নাই। আমরা আসছি স্বল্প সময়ের জন্য। কারো প্রতি আমাদের কোনো বিরাগ নাই, অনুরাগও নাই।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ব্যবস্থা, বাজার পরিস্থিতিসহ সার্বিক মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আপনারা কোনো রাজনৈতিক সরকার না, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কোনো এজেন্ডা নাই। রাজনৈতিকও না, প্রশাসনিকও না। আমরা আসছি স্বল্প সময়ের জন্য। কারো প্রতি আমাদের কোন বিরাগ নাই, অনুরাগও নাই। আমি খুব ভালো আরামে ছিলাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে পড়াতাম। ভালো একটা লাইফ ছিল। আমার ওয়াইফ কমপ্লেইন করে।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য কিন্তু খুব ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনেক কাজ আছে। আমাদের মোটামুটি ভালো প্রফেশন আছে। আমাদের কোনো এজেন্ডা নেই আমরা এ ব্যাপারে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করবো না।
ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার সমস্যা নিয়ে করা অপর এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, ব্যাংকের কিছু সমস্যা আছে। এলসি খুলতে পারে না, সময় লাগছে, অর্থায়নের ব্যাপার আছে। কিছু কিছু জিনিস আছে বাইরে থেকে ইমপোর্ট করে, বাইরে থেকে যারা পাঠাই বেশিরভাগ প্রাইভেট ওরা টাকা না পেলে বন্ধ করে দেয়। এলসি একেবারে কমে যায়নি। কিছু কিছু ব্যাংকের সমস্যা আছে। আবার বিদেশি ব্যাংকও ইনভলভ আছে। এগুলো আমরা আলাপ করছি, খুব বেশি সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অ্যাকশন নেবে।
ডলার সংকট কেটে গেছে বলে কি আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসেনসিয়াল জিনিস সার, কীটনাশক, জ্বালানি, খাদ্য এগুলোর কোনো কিছুই আটকাচ্ছে না। যেমনে পারুক বাংলাদেশ সরকার ম্যানেজ করছে। কোথা থেকে দিচ্ছে সেটা আপনারাও জানেন। কিছু কিছু জায়গা আছে সময় লাগবে, তবে অতি প্রয়োজনীয় কোনো কিছু আটকাবে না। খাদ্য পণ্যের রাশিয়ান একটি জাহাজ আমি ক্লিয়ার করে দিতে বলেছি।
সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বন্যা পুরো বাংলাদেশে হয় নাই। কয়েক জায়গায় হয়েছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে যেতে পারিনি। আমি জানি ত্রাণ প্রচুর আছে কিন্তু যেতে পারছে না। এটা হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জোর করে পানি টেনে আনা যাবে না। আপনারা জানেন ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইমিডিয়েটলি আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বললাম চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক পণ্য খালাস করতে পারবেন না। এ জন্য পানগাঁও ওপেন করে দিলাম।