আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার কমানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দর কমেছে। এতে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দর বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে ২০৩৯ ডলার ৪২ সেন্টে।
এ নিয়ে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে টানা ৩ সপ্তাহ উত্থানের পথে রয়েছে স্বর্ণের দাম। আর মাসিক হিসাবে দ্বিতীয় মাস গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দরে উল্লম্ফন ঘটেছে। উল্লেখ্য, বিদায়ী নভেম্বরে স্বর্ণের মূল্য ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ৬০ ডলার। একই কার্যদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৫৯ ডলারে।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি ইনডেক্সের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে আসছে। ফলে ২০২৪ সালে সুদের হার কমাতে পারে ফেড। এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই স্বর্ণের বাজার চাঙা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, বিদায়ী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা ব্যয় সামান্য বেড়েছে। পাশাপাশি গত ২ বছরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে কম। ফলে শিগগিরিই ফেড সুদহার হ্রাস করতে পারে।
নিম্ন সুদের হার সুদবিহীন বুলিয়ন কাছে রাখার খরচ কমিয়ে দেয়। ফলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। সঙ্গত কারণে ডলার সূচক এবং ট্রেজারি ইল্ড নিম্নগামী হয়।