সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে আরো চারটি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারের ইলেকট্রনিক্স শেয়ার সংরক্ষণাগার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এর আগে তাদের পরিচালিত পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউজে ছয়টি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি। ফলে এ পর্যন্ত বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-কন্যার মোট সাতটি ব্রোকারেজ হাউজে দশটি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
গত ২৩ ও ২৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দ করার আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ মে সিডিবিএলকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। এর ফলে অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ অবরুদ্ধ হিসাবসমূহে জমা করা যাবে না বা কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।
তথ্য মতে, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের দুইটি বিও হিসাব রয়েছে। এছাড়া শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব রয়েছে। এছাড়া আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামেও বিও হিসাব রয়েছে।
বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বিএসইসির নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের আদেশ নং ২ এর পরিপ্রেক্ষিতে শান্তা সিকিউরিটিজের গ্রাহক জিশান মির্জা ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর এবং লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের গ্রাহক বেনজীর আহমেদের বিও হিসাব পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক উক্ত বিও হিসাবগুলোর ওপর অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় কোনো অবস্থাতেই অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।