সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিষিয় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্থসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হস্তির মাধ্যামে বিদেশে অর্থপাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাই ও ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন। জানা গেছে, আজিজ ও তাঁর স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলী দেশত্যাগের চেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দুজনের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশে চিফ অফ আর্মি স্টাফ নিযুক্ত হন। তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০২১ সালের ২৪ জুন অবসরে যান তিনি। এর আগে তিনি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। আজিজের পাঁচ ভাই। তার ভাইদের নাম আনিস আহমেদ, হারিছ আহমেদ, টিপু আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ জোসেফ। আনিস, হারিস ও জোসেফ খুনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন।
আনিস ও হারিস ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, জোসেফকে দেয়া হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড। আজিজ আহমেদ সেনাপ্রধান হওয়ার একমাস আগে ২০১৮ সালের ২৭ মে তোফায়েল আহমেদ জোসেফের সাজা মওকুফ করা হয়।আজিজ সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ আনিস ও হারিসের সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও সে ব্যাপারে গণমাধ্যম ছিল অন্ধকারে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তখন বলেন যে, নিয়ম মেনেই সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই আনিস আহমেদ ও হারিছ আহমেদের সাজা ‘মওকুফ’ করা হয়েছে।