জুলাই ৫, ২০২৪

বিআইডব্লিউটিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৬৭ কোটি ২৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮১ টাকার মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট দিয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।

দুদক সচিব বলেন, বিআইডব্লিউটিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগটি দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় শামসুদ্দোহা ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ড. মো. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলায় তাঁদের নামে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপনসহ ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুদক সচিব বলেন, মিসেস ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকার নামে দায়ের হওয়া অপর মামলায় তদন্তে নাম আসে তাঁর স্বামী আসামি ড. মো. শামসুদ্দোহা খন্দকারের। তাঁদের বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপনসহ ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকার পেশায় একজন গৃহিণী হয়েও বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

শামসুদ্দোহা ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় কমিশন চার্জশিট দাখিল করে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *