হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে জিশান আলম, আবু হায়দার রনিদের দাপুটে ব্যাটিংয়ের পরও স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। থারিন্দু রত্নায়েকের কাছে চার উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করে দলটি। জবাবে সান্দুন উইরাকোডি এবং ধনঞ্জয়া লক্ষ্মণের ব্যাটে সহজেই ম্যাচটি জিতে শ্রীলঙ্কা। সেমিফাইনালের বাধা টপকে ফাইনালে উঠে দলটি প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে পাকিস্তানকে।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন জিশান। তার দুই ছক্কার সৌজন্যে প্রথম ওভারেই ১৮ রান পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে আবদুল্লাহ আল মামুনের দুই ছক্কায় বাংলাদেশ তোলে ২৪ রান। সেই ওভারে মামুনের উইকেট হারায় লাল-সবুজের দল। তারপর রত্নায়েকের করা তৃতীয় ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে একটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ঝড়ো গতিতে ৩৬ রান করে বিদায় নেন জিশান। পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিদায় নেন রত্নায়েকে।
সেই ওভারে উইকেটে এসেই ছক্কা হাঁকান আবু হায়দার রনি। পরের ওভারে আরও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ রান তুললেও চতুর্থ ওভারে ১৭ রান তোলে বাংলাদেশ। রত্নায়েকের করা দ্বিতীয় এবং ইনিংসে পঞ্চম ওভারে আবারও দুই উইকেট হারায় দলটি। ছয় বলে তিন ছক্কায় ১৮ রান করে বিদায় নেন রনি। সোহাগ গাজী করেন দুই বলে ছয় রান। ১২ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে একশ পার করান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ছয় বলে চারটি ছক্কায় ২৪ রান করে আবু হায়দার রনির বলে ফিরে যান লক্ষ্মণ। এরপর ৮৭ রানে লাহিরু সামারাকুন (৬) এবং ৯০ রানে লিহুরু মাদুশাঙ্কার (৩) উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। দুটি উইকেটই নেন জিশান।
এদিকে ১৬ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন উইরাকোডি। এরপর সাময়িক চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। যদিও শেষের ‘চাপ’ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১৪ রান লাগলেও আল মামুনের ওভারে এক বল বাক থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লঙ্কানরা। তিন উইকেটে পাওয়া এই জয়ে শেষ পর্যন্ত রত্নায়েকে তিন বলে তিন এবং নিমেশ ভিমুক্তি চার বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে জয়ের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবুও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ডি/এল ম্যাথডে ১৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।