ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

বার্জ হলো মালবাহী একটি নৌযান যেটিকে অন্য কোন নৌযান বা টাগবোট দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। বার্জের সাধারণত নিজস্ব ইঞ্জিন থাকে না। বার্জ বিভিন্ন দেশে পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ভারত, চিন, বাংলাদেশ ও ইউরোপে নদী ও খালপথে বার্জে করে পণ্য পরিবহন খুবই জনপ্রীয়। এই বার্জগুলি বড় বন্দর থেকে ছোট বন্দর বা নদী বন্দরে পণ্য পরিবহন করে থাকে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপে একটি মালবাহী বিদেশি বার্জ ভেসে এসেছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বার্জটি ভেসে আসে।দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, বার্জটিতে অনেক কন্টেইনার এবং অন্যান্য মালামাল রয়েছে। তবে সেটি কোথা থেকে এসেছে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি।

জাহাজটির গায়ে এর নাম লেখা রয়েছে এম আর ৩৩২২। এর সূত্র ধরে জানা যায় এটি সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি বার্জ। মেরিনা টোয়েজ প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানায় নিবন্ধনকৃত এ জাহাজটি ১১০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ মিটার চওড়া একটি মালবাহী বার্জ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তালিকা থেকে জানা যায়, জার ওয়ার্ল্ড লজিস্টিকস নামের একটি স্থানীয় এজেন্ট এই জাহাজটি ভাড়া করে এনেছিল।প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে এই জাহাজটি তারা ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু বার্জটি কীভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গিয়ে ভিড়লো এনিয়ে তারা কিছুই বলতে পারছেন না।”জাহাজটি দুইদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। বন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কী হয়েছিল সেটা আমরা বলতে পারছি না”, বলেন চট্টগ্রামে জার লজিস্টিকসের একজন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী।মালয়েশিয়া থেকে নির্মাণকাজের জন্য পাথর বহন করে জাহাজটি চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় গিয়েছিল বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। মি. আলী বলছেন, মালামাল খালাস করে ক্যাপ্টেন এবং ক্রু-সহ দুইদিন আগে বার্জটি নিয়ে টাগবোট চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়।

কোন নাবিক ছাড়া জাহাজটি যেভাবে ভেসে এসেছে তাতে বার্জটিকে সচেতনভাবেই পরিত্যক্ত করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে কোস্ট গার্ড। প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোন কারিগরি গোলযোগের কারণে বার্জটি পরিত্যক্ত করে থাকতে পারেন নাবিকরা অথবা আবহাওয়ার কারণে বার্জটি টাগবোট থেকে ছুটে গিয়ে থাকতে পারে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...